আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটি বন্ধুরা
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজ মঙ্গলবার , ২৭ মে ২০২৫
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। কেমন আছেন আপনারা সবাই। আশা করছি আপনারা সবাই সুস্থ ও ভালো আছেন। আমি ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আজকে আবারো আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব ভ্রমণ পোস্ট। গত সপ্তাহে আমি একটি ভ্রমন পোস্টের শেষ পর্ব আপনাদের মাঝে সম্পূর্ণ করেছি। আজকে নতুন একটি জায়গায় ভ্রমণের সুন্দর অনুভূতি এবং কিছু সুন্দর মুহূর্তের ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে তুলে ধরব। এই ঘোরাঘুরির আনন্দটা ছিল আমার কাছে সব থেকে বেশি আনন্দের। কেননা আবু রায়হানকে নিয়ে প্রথমবার কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আনন্দ সত্যি অন্যরকম ছিল আমার কাছে। আবু রায়হানের প্রথম ঈদ তার সাথে প্রথমবার সবাই একসাথে এভাবে কোথাও ঘুরতে যাওয়া সব মিলিয়ে বেশি দারুন মূহুর্ত কাটিয়েছিলাম। সেই সুন্দর অনুভূতি আজকে আবারো মনের মধ্যে কাজ করছে আপনাদের সাথে শেয়ার করাটা জন্য। আজকে কি পোস্ট করব সেটা ভাবছিলাম হঠাৎ মোবাইলের গ্যালারিতে গিয়ে দেখি এই ছবিগুলো। তখন মনের মধ্যে সুন্দর অনুভূতি জাগ্রত হয় যতবার ছবিগুলো দেখি ততই বেশি ভালো লাগে। এ ভ্রমন পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হয়নি তাই ভাবলাম এই সুন্দর ভ্রমণের সুন্দর অনুভূতি গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বঙ্গ এগ্রো পার্ক ভ্রমণের প্রথম পর্ব। এই বঙ্গ এগ্রো পার্ক হচ্ছে আমাদের গ্রামেই।
পার্ক এর সৌন্দর্য বলতে গেলে শুধু ফুল আর ফুল। কোন কৃত্রিম কোন জিনিস তৈরি করা নেই শুধু রয়েছে অনেকগুলো পুকুর আর তার পাড়ে লাগানো বিভিন্ন ফুলের গাছ। এছাড়াও বড় বড় গাছের গোড়ায় সুন্দর করে ডেকোরেশন করছে। পুকুরের মধ্যে রয়েছে নৌকা সেখানে যার যেমন ইচ্ছা উঠছে পানির ভিতর ঘুরে বেড়াচ্ছে। জায়গাটির সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক বড় বড় সুন্দর সুন্দর গাছ তার সাথে ছোট বড় বিভিন্ন ধরনের ফুলের গাছ। আর মানুষের আকর্ষণ করার জন্য ফুল গাছগুলো আরো সুন্দর করে রেখেছে তাই এখানে প্রতিবছর দুই ঈদে প্রচুর মানুষের ভিড় হয়। ফুল পছন্দ করে না এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পায় মুশকিল তাই এই ফুল এবং মাছ পুকুর দেখতে চলে আসে বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ। আবু রায়হানের প্রথম ঈদ ছিল রোজার ঈদ। তখন আবু রায়হানের বয়স মাত্র চার মাস আমিই ছিলাম আবু রায়হানের নানার বাসায়।
মূলত ওখান থেকে সবাই মিলে আসা এই পার্কে। আমি প্রথমে আসতে চেয়েছিলাম না যেহেতু ছোট বাচ্চা কোথাও তো নিয়ে যাওয়া হয়নি আজও সেভাবে তাই একটু ভয় লাগছিল। তখন সবাই বলতে ছিল যে এর থেকে ছোট বাছা কতদূর নিয়ে যায়। সব মিলিয়ে আমার বড় ছোট বোনেরা ছিল তাই আর সমস্যা হয়নি। আমরা সবাই বিকেল বেলায় রেডি হতে শুরু করে দিলাম পার্কে ঘোরার জন্য। আমরা অনেকজন ছিলাম। আমি আমার ছোট বোন আর আমার ছেলে। অন্যদিকে আমার মেজ আপু তিন মেয়ে ও জামাই। তার সাথে ছিল আমার বড় আব্বুর বড় মেয়ে এবং তার মেয়ে। সব মিলিয়ে অনেক মানুষ তাই আমরা একটা গাড়ি ভাড়া করে নি।
আমাদের বের হতে হতে বিকেল হয়ে গিয়েছিল কিন্তু পার্কে আমাদের বাড়ির আশেপাশে থাকার কারণে বেশি সময় লাগেনি আসতে। মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই আমরা পার্কে পৌঁছে যাই। এরপর সবাই ৩০ টাকা করে টিকিট কেটে পার্কের মধ্যে ঢুকে পড়ি। তারপর শুরু হয়ে যায় ইচ্ছে মতো ফটোগ্রাফি। আমার ছেলে তো আসতে আসতে ঘুমিয়ে গেছে এই ১০ মিনিটের মধ্যে। ওকে আবার ১০ মিনিট ধরে ঘুম ভাঙাতে হল তারপরেই তুলেছিলাম প্রথম ছবিটি। চার মাসের বাচ্চা পার্কে এসে আর কিবা বুঝবে ও বারবার চারিদিকে তাকাচ্ছিলো তবে ওর বেশি আকর্ষণ ছিল গারো রঙের ফুল। লাল হলুদ এই ফুলগুলো ও বারবার দেখছিল। এছাড়াও আমরা সবাই মিলে ছবি তুলেছি বাবুর আলাদা করে অনেক ছবি তুলেছি। তার সাথে রয়েছে আরও অনেক সুন্দর সুন্দর অনুভূতি এবং আড্ডার গল্প। সবগুলোই আপনি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব তবে পরবর্তী পর্বে। আজকে সবার সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি। পরবর্তীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবার চেষ্টা করব। আল্লাহ হাফেজ।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR