আবোল তাবোল জীবনের গল্প [ মানসিকতা ]

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি এবং সুস্থ আছি। যথারীতি কর্ম ব্যস্ততায় একটু বেশী ডুবে আছি। আর আমাদের সমস্যার কথা আর কি বলবো? মাঝে মাঝে সেগুলোর প্রভাবে হৃদয় একদম নিস্তেজ হয়ে যায়। একদিকে কর্ম ব্যস্ততা আর অন্য দিকে শহরের সড়কগুলোতে যানজটের চরম যন্ত্রণা, কোন দিক ছেড়ে যে কোন দিকে যাই, তাই কোন ঠিকানা নেই, হি হি হি। কেমনে কেমনে জানি ছন্দটা মিলে গেলো। সময়ের সাথে সাথে সব কিছু পাল্টে যায় কিন্তু অনাকাংখিতভাবে সত্যটা হলো আমরা পরিবর্তন হই।

না না না পরিবর্তন হই না সেটা মোটেও সত্য না বরং পরিবর্তন হই ঠিকই কিন্তু সেটা কাংখিত মানের হয় না। আমরা পরিবর্তন হই সেটাকে সুন্দর ও মার্জিত করার জন্য নয় বরং নিজের অহংকার কিংবা আভিজাত্য প্রকাশের জন্য। বিষয়টি অনেকটা এমন, আমাদের অবস্থান পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে আমাদের মানসিকতা নিদারুণভাবে পরিবর্তন হয়ে যায়। অথচ যেটা হওয়ার কথা ছিলো সেটা হলো না কিন্তু যেটা হওয়ার কথা ছিলো না সেটাই হয়ে গেলো। কারণ আমাদের উপলব্ধি আমাদের সঠিক অবস্থানে ধরে রাখতে পারে নাই বরং আমাদের পরিবর্তন আমাদের উপলব্ধিকে পাল্টে দিয়েছে।

boat-4501722_1280.jpg

যেহেতু আমি পাবলিক বাসে যাতায়াত করি সেহেতু প্রায় সময় নানা ঘটনা কিংবা অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরতে হয়। না না না সেগুলো নিয়ে খুব কম সময়ই আমি বাড়িতে আলোচনা করি, তবে হ্যা মাঝে মাঝে যেমন বন্ধু/সহকর্মীদের সাথে আলোচনা করি ঠিক তেমনি মাঝে মাঝে সেগুলোকে লেখার মাধ্যমে শেয়ার করি। তবে কর্ম ব্যস্ততার কারণে বেশীর সময় সেগুলোকে ভুলে যাই। কারণ যেহেতু কিছু করার সুযোগ নেই সেহেতু আগ বাড়িয়ে অন্যের শত্রু না হলে ভুলে যাওয়াটাই শ্রেয় বলে মনে হয়। তা না হলে পাবলিক বাসে চড়েও অনেকের ভাবভঙ্গি এমন হয় যেন তারা প্লেনে চড়েছেন, তাদের সম্মুখে কেউ দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না।

আশ্চার্যের বিষয় হলো পাবলিক বাস সকলের জন্য, সেখানে উচ্চ বর্ণ কিংবা ধনী-গরিব বিবেচ্য হয় না বরং সবাই সম্মিলিতভাবে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়ার বিষয়টিকে প্রাধান্য দেয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তবুও মাঝে মাঝে আমাদের ভাবভঙ্গি এমন হয়ে থাকে যে, পুরো বাসটাই আমার, কিংবা আমি বিশিষ্টজন পাবলিক বাসেও আমার জন্য বিশেষ সম্মানের ব্যবস্থা থাকা উচিত। সেদিন তো এক ভদ্রলোক আরেক ভদ্রলোক এর সাথে প্রায় ‍যুগ্ধ লেগেই গিয়েছিলো, তা না হলে হয়তো জাতিসংঘের প্রতিনিধিকে আসতে হতো শান্তি চুক্তি করার জন্য হি হি হি। সমস্যা হয়েছিলো একজন অন্যজনের গায়ে কেন ধাক্কা দিলেন সেটা নিয়ে, এবার বুঝেন কি অবস্থা!

আমি মাঝে মাঝে চিন্তা করি সত্যি আমরা বাঙালীরা বড় আজব জিনিষ, আমাদের চেনা খুবই মুশকিল। কোথায় যে কি করে বসি সেটা বোধহয় আমরা নিজেরাও জানি না। এটা চিন্তা করি না, আজ যে দাঁড়িয়ে আছে কাল আমিও তার জায়গায় থাকতে পারি। আজকে যে সমস্যার জন্য আমি অন্যের সাথে ঝগড়া করছি কাল একই বিষয় নিয়ে অন্য কেউ এগিয়ে আসতে পারে আমার সাথে ঝগড়া করার জন্য। হয়তো কখনো একই সমস্যায় মানুষ আমাকেও অপমান করতে দ্বিধাবোধ করবে না, তখন আমরা অবস্থান কিংবা অনুভূতি কেমন হবে? চিন্তা করা উচিত আমাদের, মানসিকতায় পরিবর্তন আনা উচিত আমাদের, অবশ্যই সেটা কাংখিতভাবে।

Image Taken from Pixabay

ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah

break .png
Leader Banner-Final.pngbreak .png

আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

break .png

Banner.png

H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
1 Comment