আসসালামু আলাইকুম
আপনাদের সাথে আরো একটি ভিন্ন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। পোস্টে ভিন্নতা আনার জন্য একেক সময় একেক ধরনের পোস্ট করা হয়। আজকে যে নাটকের রিভিউ টি শেয়ার করবো সেই নাটকের নাম হচ্ছে "মেঘের বৃষ্টি"। নাটকটি দেখে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। নাটক টি গতকাল রাতে দেখেছিলাম। তাই ভাবলাম আজকে আপনাদের সাথে রিভিউ টা শেয়ার করি। আমি চেষ্টা করেছি পুরো নাটকের গল্পটা সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার। আশা করছি রিভিউটি পড়ে আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।
নাটকের নাম | মেঘের বৃষ্টি |
---|---|
গল্প | ইমদাদ বাবু |
পরিচালনা | মাসরিকুল আলম |
অভিনয়ে | ফারহান আহমেদ জোভান সহ, নাজনীন নিহা সহ আরো অনেকে। |
সময়কাল | ০১:০৯:১০ |
নাটকে নায়কের নাম থাকে মেঘ। সে বিদেশে থাকে। তার মা তাকে অনেক মেয়ের ছবি পাঠায় বিয়ের জন্য। একটা মেয়ের ছবি দেখে তার খুব পছন্দ হয়ে যায়। তারপর সে দেশে আসে এবং সেই মেয়েটার সাথে দেখা করে। মেয়েটাকে তার আগে থেকেই পছন্দ হয়ে গেছে। তারা একটা রেস্টুরেন্টে দেখা করে। সে আগে থেকে জানত মেয়েটা খুব ভদ্র এবং শান্তশিষ্ট। তবে দেখা করার পর তার চিন্তা ভাবনা উল্টে যায়। মেয়েটা প্রথমে প্রথমে বিয়ের জন্য রাজি হয় না। তবে মেঘ অনেক চেষ্টা করে তাকে রাজি করানোর।
নায়িকার ফ্যামিলির মেঘ কে খুব পছন্দ করে। তবে নায়িকা সেভাবে মত দেয় না। তারপর নায়িকার দাদি তাকে বলে সে যেন মেঘ কে নিয়ে গ্রামে যায়। তারপর তারা দুজনে মিলে নায়িকার গ্রামের বাড়িতে যায়। সেখানে মেঘ সবার সাথে খুব সুন্দর ব্যবহার করে। নায়িকার দাদির এবং অন্যান্য সবারও মেঘ কে পছন্দ হয়ে যায়। নায়িকা আস্তে আস্তে তাকে পছন্দ করা শুরু করে। তবে সেটা প্রকাশ করত না। তারা গ্রামে গিয়ে খুব ইনজয় করে সময় গুলো। নায়িকার দাদি মেঘ কে খুব পছন্দ করেছিল। যাওয়ার সময় তিনি নায়িকাকে বলেছে সে যেন বিয়েতে রাজি হয়ে যায়।
গ্রাম থেকে ফিরে একদিন তারা বের হওয়ার প্ল্যান করে। তখন মেঘ বলে সে যেন শাড়ি পড়ে আসে। তবে নায়িকা আগে কখনো শাড়ি পরেনি। তারপর সে তার মায়ের কাছে গেল শাড়ি খোঁজার জন্য। তবে তার মায়ের কাছে নীল শাড়ি ছিল না। তারপরে সে একটা নীল শাড়ি কিনে নেয়। সেদিন রাতে নায়িকা নিজের তার নাম চেঞ্জ করে ফেলে। যেহেতু নায়কের নাম মেঘ তাই সে তার নাম রাখে বৃষ্টি। এরপর দিন সকালে সে বের হয় নায়কের সাথে দেখা করার জন্য। তবে যাওয়ার সময় তার অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে যায়। ডাক্তার অনেক চেষ্টা করে তাকে বাঁচানোর জন্য তবে শেষ পর্যন্ত সে বাঁচাতে পারেনা। এভাবেই নাটকটা শেষ হয়।
সকল ছবি মোবাইলে স্ক্রিনশট নেওয়া।
নাটকের গল্পটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। তবে নাটকের শেষটা সত্যিই খুব দুঃখের ছিল। নাটকটা মূলত একটা সুন্দর প্রেমের গল্প ছিল। তবে এখানে পূর্ণতা ছিল না। পূর্ণতা না থাকলেও ভালোবাসা যায় এই বিষয়টাই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সব মিলিয়ে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে নাটকটা।
ধন্যবাদান্তে
@isratmim