ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে বাস্তব একটি গল্প শেয়ার করব। আমার গল্পটি হচ্ছে অদ্ভুত মানুষ। অদ্ভুত মানুষ বলতে একটি লোক আছে আমাদের এলাকাতে। এই লোকটির নাম হচ্ছে কাশেম ভাই। কাশেম ভাই মূলত একজন ধার্মিক মানুষ। এই লোকটি সবসময় নামাজ পড়ে এবং ভালো কথা বলে মানুষদেরকে। এই মানুষটি হঠাৎ করে উধাও হয়ে যায় বিগত কয়েক বছর ধরে। লোকটি পরিবার থেকে হঠাৎ করে কোথায় যেন চলে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করে এবং তার খোঁজ খবর পাইনা। আবার ২-৩ মাস পর নয়তো বা এক বছর পর আবার বাড়িতে আসে। লোকটিকে জিজ্ঞেস করে তার পরিবার কোথায় যায় কি করে। একটি ছেলে একটি মেয়ে আছে। যদিও ছেলে মেয়েগুলো একটু বড় হয়েছে।
আর লোকটির বাড়িতে ভালো জায়গা সম্পত্তিও আছে। এবং তার ওয়াইফও খুব ভালো মানুষ। এভাবে বিগত কয়েক বছর ধরে সেই কোথায় যেন হারিয়ে যায়। আবার মাঝে মধ্যে বাড়িতে আসে। কিছু মাস আগে কাশেম ভাই আবারো হারিয়ে গেল কোথায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরও তাকে আর পাওয়া গেল না। বিগত কয়েকদিন আগে সে আবার আসলো বাড়িতে। আর লোকটির কৌতুহল দেখে সবাই কিন্তু অবাক থাকে। কারণ লোকটি কিভাবে চলে এবং টাকা পয়সা কোথায় পাই কেউ জানে না। এদিকে লোকটির আপন ভাই গুলো জানতে চাই কোথায় যায় কি করে। কিছুদিন আগে হঠাৎ করে একটি মহিলা তাদের বাড়িতে একটি ছেলে নিয়ে আসলো।
মহিলাটি কিভাবে খবর নিয়ে তাদের বাড়িতে এবং তাদের ঘর উদ্দেশ্য করে আসলেন। যদিও প্রথমে বাড়ির ভিতরে যাওয়ার সময় জিজ্ঞেস করে গেলেন মহিলাটি। এবং তাদের ঘরে যাওয়ার পর বাড়ির কিছু মহিলা এবং তার ওয়াইফ জিজ্ঞেস করতে লাগলো আপনি কে। এরপর ওই মহিলা বলতেছে সেই কাশেম ভাইয়ের ওয়াইফ। এই কথা শুনে কাশেম ভাইয়ের বাড়িতে যে ওয়াইফ থাকে সে পাগলের মত হয়ে গেল এবং কাঁদতে লাগলেন। এবং বারবার সবাই জিজ্ঞেস করতে লাগলো কথাটি সত্য কিনা মিথ্যা। এরপর যাচাই বাছাই করে জানতে পারলো এটি কাশেম ভাইয়ের দ্বিতীয় ওয়াইফ। মূলত সেই অন্য জেলা গিয়ে বিয়ে করেছে। আর এই কারণে মাঝেমধ্যে সে হঠাৎ করে কোথায় যেন চলে যায়। আর তার খোঁজখবর পাওয়া যায় না।
আর মহিলাটি আসার খবর শুনে কাশেম ভাই নিজে পালিয়ে গেলেন কোথায়। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর কাশেম ভাইকে পাওয়া গেল না। এখনো পর্যন্ত কাশেম ভাইয়ের কোন খোঁজ খবর নাই বিগত কয়েকদিন ধরে। আর একই বাড়িতে এখন কাশেম ভাইয়ের দুটি ওয়াইফ আছে। যদিও পরের ওয়াইফ অপেক্ষা করতে লাগলো কখন সেই বাড়িতে আসবে তার সাথে কথা বলবে। আর কাশেম ভাইয়ের দ্বিতীয় ওয়াইফ জানতো না তার আগে পরিবার আছে এবং ছেলে-মেয়ে আছে। এবং তার প্রথম ওয়াইফও কল্পনাই করে নাই সে দ্বিতীয় বিয়ে করেছে। তার কথাবার্তা এবং চালচরণ দেখলে সবাই তাকে সম্মান করে।
আর কাশেম ভাইয়ের দ্বিতীয় ওয়াইফ বলতে লাগলো বিগত আট নয় বছর আগে তাকে সে বিয়ে করেছে। মূলত তার বাবার সাথে ভালো সম্পর্ক থাকার কারণে কাশেম ভাই তাদের বাড়িতে যেতেন। আর লোকটি ভাল বিদায় তার বাবা তাকে তার কাছে বিয়ে দেওয়ার জন্য রাজি হয়েছে। যদিও ওই সময় কাশেম ভাই বলেছেন সেই বিয়ে করে নাই। আর কাশেম ভাইয়ের দ্বিতীয় ওয়াইফের বাড়িতে সেই একমাত্র মেয়ে বিধায় তার বাবার বাড়িতে থাকে। এবং পরে মহিলাটি কিভাবে খোঁজখবর নিয়ে তার গ্রামের বাড়িতে আসলো। আর এসে দেখে যে কাশেম ভাইয়ের আগের ওয়াইফ ছেলে মেয়ে আছে। আর আসলে লোকটি এতই অদ্ভুত মানুষ লোকটিকে নিয়ে কেউ বাজে চিন্তাই করে নাই। আর ওই অদ্ভুত মানুষটি দুই নৌকাই পা দিল। এ হচ্ছে কাশেম ভাইয়ের অদ্ভুত ঘটনা। আশা করে আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।